শেখ মুজিবের ছাত্রজীবন
আদর্শ ও দেশপ্রেমের প্রতিকৃতি।   
-   শেখ  মুজিবের ছাত্রজীবন : আদর্শ ও  দেশপ্রেমের প্রতিকৃতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের  স্বপ্ন ছিল বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালির  জাতিসত্তার প্রতিষ্ঠা। শৈশব কৈশোর  থেকে তিনি এই আদর্শ নিয়েই বড় হয়ে ওঠেন।  নিজেই নিজেকে প্রস্তুত করে তোলেন।  তাঁর এই চারিত্রিক দৃঢ়তার পেছনে ছিল  গভীর অধ্যয়ন, জানা-চেনা-শোনা ও দেখার  গভীর অন্তর্দৃষ্টি। তিনি হৃদয়ের  আবেগকে যথেষ্টভাবে ধারণ করতে সমর্থ হন। এর  পেছনে ছিল মানুষকে ভালোবাসা ও  সাহায্য করার জন্য তাঁর দরদী মন। এই শিক্ষাটা  তিনি অর্জন করেন তাঁর  পরিবারের মানুষদের দেখে, তাঁর গৃহশিক্ষকের কাছে এবং  দারিদ্র অভাবগ্রস্থ  গ্রামের মানুষকে দেখে। তাঁর হৃদয়ে যা কিছু ছাপ রেখেছে  বা প্রভাব ফেলেছে  সেটা তিনি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। এই ক্ষমতা অল্প বয়স  থেকেই তাঁর  আয়ত্তে ছিল। তাঁকে চিন্তাচ্ছন্ন করে তুলতো, তাঁকে আবেগতাড়িত  করতো। তাঁর  জাতির পিতা বা বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে তাঁর গ্রাম টুঙ্গিপাড়ার  মানুষের  একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই ছোট্ট অনুন্নত গ্রাম ও মানুষের মধ্যে  তিনি  লক্ষাধিক গ্রাম ও কয়েক কোটি মানুষকেও দেখেছেন। আর সেজন্যই বাঙালি  জাতির  ভাগ্যকে তিনি জয় করতে গিয়ে তিনি নিজের জীবনের প্রতি তাকিয়ে দেখার  সুযোগ  পান নি। জেল-জুলুম, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, শাসকগোষ্টীর অত্যাচার– সবকিছু  সহ্য  করেছেন। কিন্তু বাংলার মানুষের সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি।  তাঁর  লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের মুক্তি। বাঙালি উন্নত জীবনের অধিকারী হোক।   বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াক। বাঙালি জাতিসত্তাকে প্রতিষ্ঠা করুক। একজন মহান   নেতা হবার সবকটি গুণই আমরা তার মধ্যে খুঁজে পাই। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ   টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবের জন্ম হয়। মা-বাবার চোখের মণি, ভাই-বোনের আদর   ভালোবাসা, আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশি সকলের কাছেই ছিল তার সমাদর। গ্রামের   মাটি-আলো-বাতাসের স্পর্শ নিয়ে প্রকৃতির শান্ত শীতল সবুজ ছবিটি দেখে তিনি   বড় হয়ে উঠলেন। শেখ  মুজিবের ছাত্রজীবন : আদর্শ ও  দেশপ্রেমের প্রতিকৃতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের  স্বপ্ন ছিল বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালির  জাতিসত্তার প্রতিষ্ঠা। শৈশব কৈশোর  থেকে তিনি এই আদর্শ নিয়েই বড় হয়ে ওঠেন।  নিজেই নিজেকে প্রস্তুত করে তোলেন।  তাঁর এই চারিত্রিক দৃঢ়তার পেছনে ছিল  গভীর অধ্যয়ন, জানা-চেনা-শোনা ও দেখার  গভীর অন্তর্দৃষ্টি। তিনি হৃদয়ের  আবেগকে যথেষ্টভাবে ধারণ করতে সমর্থ হন। এর  পেছনে ছিল মানুষকে ভালোবাসা ও  সাহায্য করার জন্য তাঁর দরদী মন। এই শিক্ষাটা  তিনি অর্জন করেন তাঁর  পরিবারের মানুষদের দেখে, তাঁর গৃহশিক্ষকের কাছে এবং  দারিদ্র অভাবগ্রস্থ  গ্রামের মানুষকে দেখে। তাঁর হৃদয়ে যা কিছু ছাপ রেখেছে  বা প্রভাব ফেলেছে  সেটা তিনি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। এই ক্ষমতা অল্প বয়স  থেকেই তাঁর  আয়ত্তে ছিল। তাঁকে চিন্তাচ্ছন্ন করে তুলতো, তাঁকে আবেগতাড়িত  করতো। তাঁর  জাতির পিতা বা বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে তাঁর গ্রাম টুঙ্গিপাড়ার  মানুষের  একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই ছোট্ট অনুন্নত গ্রাম ও মানুষের মধ্যে  তিনি  লক্ষাধিক গ্রাম ও কয়েক কোটি মানুষকেও দেখেছেন। আর সেজন্যই বাঙালি  জাতির  ভাগ্যকে তিনি জয় করতে গিয়ে তিনি নিজের জীবনের প্রতি তাকিয়ে দেখার  সুযোগ  পান নি। জেল-জুলুম, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, শাসকগোষ্টীর অত্যাচার– সবকিছু  সহ্য  করেছেন। কিন্তু বাংলার মানুষের সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি।  তাঁর  লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের মুক্তি। বাঙালি উন্নত জীবনের অধিকারী হোক।   বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াক। বাঙালি জাতিসত্তাকে প্রতিষ্ঠা করুক। একজন মহান   নেতা হবার সবকটি গুণই আমরা তার মধ্যে খুঁজে পাই। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ   টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবের জন্ম হয়। মা-বাবার চোখের মণি, ভাই-বোনের আদর   ভালোবাসা, আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশি সকলের কাছেই ছিল তার সমাদর। গ্রামের   মাটি-আলো-বাতাসের স্পর্শ নিয়ে প্রকৃতির শান্ত শীতল সবুজ ছবিটি দেখে তিনি   বড় হয়ে উঠলেন। 
 
 শেখ মুজিবের প্রতি তাঁর ছিল অপার স্নেহ। বিশেষ  করে বি.এ.  পরীক্ষায় বসার জন্য তিনি তাঁকে সবরকম সহযোগিতা করেছিলেন। কেননা   দাঙ্গা-হাঙ্গামা, পুনর্বাসন ইত্যাদি কর্মকান্ডে শেখ মুজিব তখন ব্যস্ত   থাকতেন। মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। একদিকে   ছাত্রনেতা হিসেবে বলিষ্ঠ সংগঠক ছিলেন, অপরদিকে মুসলিম লীগের ড্রইংরুম   রাজনীতিকে সাধারণের মাঝে নিয়ে আসার কাজে তিনি সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের   যোগ্য শিষ্য ছিলেন। বেকার হোস্টেলের ছাত্র সংসদের নেতৃত্বও তিনি নিয়ন্ত্রণ   করতেন এবং একবার সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। শিক্ষক ও ছাত্র সকলের প্রিয়   ছিলেন শেখ মুজিব। তাঁর আদর্শ, সাহস ও চিন্তা-ভাবনার প্রতি সকলের শ্রদ্ধা   ছিল। স্কুল ছাত্রজীবন থেকেই শেখ মুজিব দেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩৮   সালে মুসলিম লীগের ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে সিরাজগঞ্জে প্রাদেশিক   মুসলিম লীগের সম্মেলনে যোগদান করে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এ সম্মেলনে   মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ ভারতের বড় বড় নেতৃবৃন্দ যোগদান করেন। এছাড়াও   দিল্লীতে ভারতীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্মেলনে তিনি দুইবার যোগদান করেন। 
  ঢাকায় এসে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে  জড়িয়ে পড়েন এবং মুসলিম  ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাচারিতা ও বাংলা বিরোধী ভূমিকার  জন্য তাদের সঙ্গে  সম্পর্ক ছেদ করেন। তিনি পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন  করেন। যুবলীগেরও  একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের  বাংলাভাষাবিরোধী ভূমিকা  এবং উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার হুমকির  বিরুদ্ধে ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ যখন গর্জে ওঠে, তিনিও তাদের  সঙ্গে নেতৃত্ব দেন।  ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রতিবাদ ও হরতাল পালিত হলে শেখ  মুজিবও সবার সঙ্গে  গ্রেফতার হন। পরে পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী খাজা  নাজিমুদ্দিন ছাত্রদের  দাবি মেনে নিয়ে সবাইকে মুক্তি দেন। এরপর শেখ মুজিব  কৃষকদের দাবি নিয়ে  আন্দোলন করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ  শ্রেণীর দাবি দাওয়া নিয়ে  আন্দোলন করেন। এসময় উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও কালে  তাঁকেও পুলিশ গ্রেফতার করে  এবং অনেকগুলো মামলা দায়ের করে। কারাগারে থাকার  সময় তিনি আওয়ামী মুসলিম  লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেল থেকে বের  হয়ে এক ছাত্রসভায় বক্তৃতা  দিয়ে তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেন এবং  জাতীয় রাজনীতিতে যোগদান করেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিস্কার করা  হয়েছিল। জেলে থাকাকালে সরকার  তাঁকে জরিমানা ও মুচলেকার প্রস্তাব দেয় এবং  জানায় তিনি যদি রাজনীতি না  করেন, তাহলে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়া হবে। তিনি  সরকারি প্রস্তাব প্রত্যাখান  করেছিলেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শেখ মুজিব  টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে  কিছুদিন অবস্থান করেন। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর  রহমান তাঁকে লন্ডনে গিয়ে  ব্যারিস্টারি পড়তে বলেন। কিন্তু শেখ মুজিব ততদিনে  পাকিস্তানের শাসকদের  ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে অনুধাবন করে ফেলেন। তিনি তাঁর  প্রিয় বাংলার জনগণকে  পাকিস্তানের শোষণের মধ্যে ফেলে রেখে লন্ডনে গিয়ে আর  পড়তে চাইলেন না। তিনি  রাজনীতি করার সদিচ্ছা প্রকাশ করে বাংলার মানুষের  আদায়ের দাবিতে আবার ঢাকা  চলে এলেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের ইতি  ঘটে। কিন্তু ঘরে বসে বই  পড়ার অভ্যাস থাকায় তিনি একটি লাইব্রেরি গড়ে তোলেন।  স্বচ্ছ মনের মানুষ  ছিলেন, রাজনৈতিক চিন্তার দিক থেকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন  ছিলেন, সাহসী, সৎ ও দৃঢ়  চারিত্রিক আদর্শের অধিকারী ছিলেন। পাকিস্তানি  শাসকগোষ্ঠীর আতঙ্ক ছিলেন  একমাত্র শেখ মুজিব। মন্ত্রীত্বের লোভ, লাইসেন্সের  টোপ এবং ব্যবসা-বানিজ্যের  নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে তখন অনেক নেতাকে ক্রয়  করা যেত। কিন্তু শেখ মুজিব  তাঁর লক্ষ্যে দৃঢ় ছিলেন। জেল-জুলুম  মামলা–ফাঁসির ভয় তাঁর মাথা নত করতে  দেয়নি। বাংলার মানুষের মুক্তির দাবিতে,  অধিকার আদায়ে, শোষণের বিরুদ্ধে  তিনিই ছিলেন সোচ্চার প্রতিবাদী। তাঁর  বজ্রকন্ঠ পাকিস্তানের ভিত কাঁপিয়ে  দিয়েছিল। দেশ ও মানুষকে তিনি তাঁর  হৃদয়ের আধেয় করে একজন আত্মত্যাগী  দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা  করতে সমর্থ হন। ছাত্রজীবন থেকে যে  শিক্ষা ও দীক্ষা তাঁর জীবনকে আলোকিত  করে তোলে, তার শিখা চিরন্তন করে রেখে  গেছেন তিনি। ঢাকায় এসে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে  জড়িয়ে পড়েন এবং মুসলিম  ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাচারিতা ও বাংলা বিরোধী ভূমিকার  জন্য তাদের সঙ্গে  সম্পর্ক ছেদ করেন। তিনি পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন  করেন। যুবলীগেরও  একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের  বাংলাভাষাবিরোধী ভূমিকা  এবং উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার হুমকির  বিরুদ্ধে ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ যখন গর্জে ওঠে, তিনিও তাদের  সঙ্গে নেতৃত্ব দেন।  ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রতিবাদ ও হরতাল পালিত হলে শেখ  মুজিবও সবার সঙ্গে  গ্রেফতার হন। পরে পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী খাজা  নাজিমুদ্দিন ছাত্রদের  দাবি মেনে নিয়ে সবাইকে মুক্তি দেন। এরপর শেখ মুজিব  কৃষকদের দাবি নিয়ে  আন্দোলন করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ  শ্রেণীর দাবি দাওয়া নিয়ে  আন্দোলন করেন। এসময় উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও কালে  তাঁকেও পুলিশ গ্রেফতার করে  এবং অনেকগুলো মামলা দায়ের করে। কারাগারে থাকার  সময় তিনি আওয়ামী মুসলিম  লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেল থেকে বের  হয়ে এক ছাত্রসভায় বক্তৃতা  দিয়ে তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেন এবং  জাতীয় রাজনীতিতে যোগদান করেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিস্কার করা  হয়েছিল। জেলে থাকাকালে সরকার  তাঁকে জরিমানা ও মুচলেকার প্রস্তাব দেয় এবং  জানায় তিনি যদি রাজনীতি না  করেন, তাহলে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়া হবে। তিনি  সরকারি প্রস্তাব প্রত্যাখান  করেছিলেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শেখ মুজিব  টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে  কিছুদিন অবস্থান করেন। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর  রহমান তাঁকে লন্ডনে গিয়ে  ব্যারিস্টারি পড়তে বলেন। কিন্তু শেখ মুজিব ততদিনে  পাকিস্তানের শাসকদের  ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে অনুধাবন করে ফেলেন। তিনি তাঁর  প্রিয় বাংলার জনগণকে  পাকিস্তানের শোষণের মধ্যে ফেলে রেখে লন্ডনে গিয়ে আর  পড়তে চাইলেন না। তিনি  রাজনীতি করার সদিচ্ছা প্রকাশ করে বাংলার মানুষের  আদায়ের দাবিতে আবার ঢাকা  চলে এলেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের ইতি  ঘটে। কিন্তু ঘরে বসে বই  পড়ার অভ্যাস থাকায় তিনি একটি লাইব্রেরি গড়ে তোলেন।  স্বচ্ছ মনের মানুষ  ছিলেন, রাজনৈতিক চিন্তার দিক থেকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন  ছিলেন, সাহসী, সৎ ও দৃঢ়  চারিত্রিক আদর্শের অধিকারী ছিলেন। পাকিস্তানি  শাসকগোষ্ঠীর আতঙ্ক ছিলেন  একমাত্র শেখ মুজিব। মন্ত্রীত্বের লোভ, লাইসেন্সের  টোপ এবং ব্যবসা-বানিজ্যের  নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে তখন অনেক নেতাকে ক্রয়  করা যেত। কিন্তু শেখ মুজিব  তাঁর লক্ষ্যে দৃঢ় ছিলেন। জেল-জুলুম  মামলা–ফাঁসির ভয় তাঁর মাথা নত করতে  দেয়নি। বাংলার মানুষের মুক্তির দাবিতে,  অধিকার আদায়ে, শোষণের বিরুদ্ধে  তিনিই ছিলেন সোচ্চার প্রতিবাদী। তাঁর  বজ্রকন্ঠ পাকিস্তানের ভিত কাঁপিয়ে  দিয়েছিল। দেশ ও মানুষকে তিনি তাঁর  হৃদয়ের আধেয় করে একজন আত্মত্যাগী  দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা  করতে সমর্থ হন। ছাত্রজীবন থেকে যে  শিক্ষা ও দীক্ষা তাঁর জীবনকে আলোকিত  করে তোলে, তার শিখা চিরন্তন করে রেখে  গেছেন তিনি।